মেগাপিক্সেল বেশি মানেই কি ভালো ক্যামেরা?

৬৪ মেগাপিক্সেল #ক্যামেরার ফোন #স্যামসাং আগেই বাজারে এনেছে। সামনের বছর আসবে তাদের ১০৮ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা সেনসর। #শাওমিও ১০০ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা আনার কথা বলছে। পিক্সেল বাড়ানোর এই যুদ্ধ আসলে গ্রাহকদের জন্য কতটা সুবিধার?

যখন আপনি শুনবেন এই ক্যামেরা এত মেগাপিক্সেলের, তখন বুঝবেন ক্যামেরাটির ছবিতে লাখ লাখ পিক্সেলের ছবি তোলা যায়। ডিজিটাল স্ক্রিনের সব ছবি ছোট ছোট বিন্দুর সমন্বয়ে তৈরি হয়। একেই বলে পিক্সেল। ১০ লাখ পিক্সেলে ১ মেগাপিক্সেল হয়।

বেশি পিক্সেল মানে তুলনামূলক বড় ছবি। আর ছবি বড় হলেই আপনি বেশি দেখতে পাবেন (অধিকাংশ ক্ষেত্রে), সেটাই স্বাভাবিক। ৬৪ মেগাপিক্সেল ক্যামেরার ছবি ৯২১৬দ্ধ৬৯১২ #রেজ্যুলেশনের ছবি তুলতে পারে। যেটি ১২ মেগাপিক্সেলের থেকে অনেক বড়। এতটুকু পড়েই আপনি ভাবতে পারেন মেগাপিক্সেল বেশি হলেই ছবির কোয়ালিটি ভালো হয়। আসলে কিন্তু তা নয়। মেগাপিক্সেল কোয়ালিটিকে ধারণ করে না, এটি মূলত সাইজকে বোঝায়। তাই আপনি যদি বিলবোর্ডের জন্য ছবি প্রিন্ট করাতে চান, তাহলে বেশি মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা দরকার হবে।

ছবি ভালো হবে কী মন্দ হবে সেটি নির্ভর করে ক্যামেরার অন্য যন্ত্রাংশের ওপর। এর মধ্যে অন্যতম সেনসর, যেটি ক্যামেরার ভেতরে থাকে। এ ছাড়া লেন্স, #সফটওয়্যার প্রসেসিং তো আছেই। এসবের পাশাপাশি সঠিক হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, অটোফোকাস সক্ষমতা, ভালো ফ্ল্যাশ এবং জুম লেভেলও খুব গুরুত্বপূর্ণ। যে ক্যামেরা দিয়ে কম আলোয় ভালো ছবি তোলা যায়, সেটিকে প্রাথমিকভাবে ভালো ক্যামেরা বলা যেতে পারে। এরপর দেখতে হবে আরও কিছু গুণ। 

প্রযুক্তিবিদরা বলে থাকেন, প্রোসেসর যদি স্মার্টফোনের প্রাণ হয়, তাহলে সেন্সরকে বলা হয় ক্যামেরার হৃৎপিণ্ড। সেন্সর ভালো কাজ করলে ভালো ছবি তোলা সম্ভব। #সেন্সর বুঝতে হলে ক্যামেরার লাইট পরখ করে দেখতে হবে। যে সেন্সর বেশি লাইট সরবরাহ করতে পারে, সেই ক্যামেরাটি কেনা উচিত।

এরপর আসবে জুমের ব্যাপার। #স্মার্টফোনের ক্যামেরায় সাধারণত দুই ধরনের জুম ব্যবহার করা হয়। ডিজিটাল ও অপটিক্যাল। যখন আপনি দূরের ছবি তুলতে যাবেন, তখনই জুম কাজে লাগে। বিশেষজ্ঞরা ডিজিটাল লেন্সের থেকে অপটিক্যাল লেন্সের ক্যামেরাকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন।