ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিডার কিভাবে কাজ করে?
পুলিশ স্টেশনে প্রথমে ইঙ্ক প্যাডের উপর আপনার আঙ্গুল রাখতে বলা হয় তারপরে একটি সাদা কাগজের উপরে আঙ্গুলের ছাপ বসাতে বলা হয়। সাদা কাগজের উপরে আঙ্গুলের ইম্প্রেশন গুলোকে জমা করে রাখা হয় এবং পরবর্তীতে কম্পিউটারে ও স্টোরড করা হয়। কিন্তু যখন ফিঙ্গারপ্রিন্ট ইউজ করে কোন বিল্ডিং এর দরজা খুলবেন বা মোবাইলের লক স্ক্রীন আনলক করবেন সেক্ষেত্রে অনেক ফাস্ট ম্যাথড দরকার পড়বে যেটা মিলি-সেকেন্ডের মধ্যে ফিঙ্গারপ্রিন্ট ভেরিফাই করতে সক্ষম হবে! — তাহলে ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার বা ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিডার কিভাবে কাজ করে?
সাধারণত দুই টাইপের ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার বা ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিডার দেখতে পাওয়া যায়! একটি হচ্ছে অপটিক্যাল ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার, যেটা আপনার আঙ্গুলের উপর উজ্জ্বল আলোর বীম ছুড়ে মারে তারপরে ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিডারে থাকা একটি ইমেজ সেন্সর আপনার আঙ্গুলের একটি ডিজিটাল ফটো ক্যাপচার করে। আপনার হাত কোন ফটোকপি মেশিনের উপরে রাখলে যা হবে আর কি, সম্পূর্ণ হাতের ছাপ একটি কাগজে ফটোকপি হয়ে বের হয়ে আসবে। ঠিক এভাবেই অপটিক্যাল ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার গুলো কাজ করে। আপনার আঙ্গুলের ডিজিটাল ফটোগ্রাফ তৈরি করে তারপরে কম্পিউটার সেই ইমেজকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অ্যানালাইজ করে শুধু ফিঙ্গারপ্রিন্ট সিলেক্ট করে তারপরে প্যাটার্ন ম্যাচিং সফটওয়্যার সেই ফিঙ্গারপ্রিন্টটিকে ডিজিটাল কোডে পরিণত করে। আর তারপরের প্রসেস তো উপরেই বর্ণিত করলাম!
আরেক টাইপের ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার বা ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিডার কে ক্যাপাসিটিভ স্ক্যানার বলা হয়। এই টাইপের স্ক্যানার আপনার আঙ্গুলের ছাপ ইলেকট্রিক্যালভাবে ক্যাপচার করে। ক্যাপাসিটিভ স্ক্যানারের সার্ফেসে যখন আঙ্গুল রাখা হয় এটি আঙ্গুলের রেখা থেকে সহজেই আঙ্গুলের ছাপের একটি ইমেজ তৈরি করতে পারে। বিশেষ করে স্মার্টফোনের পেছনের দিকে বা হোম বাটনে ইন্সটল থাকা রিডার গুলো ক্যাপাসিটিভ রিডার হয়ে থাকে। বর্তমানে মডার্ন স্মার্টফোন গুলোতে ইন-ডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিডার ইউজ করা হয়, যেটা অপটিক্যাল ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানারের উদাহরণ। তবে কিছু আরো উন্নত ডিভাইজে আলট্রাসনিক সাউন্ড ইউজ করেও ফিঙ্গারপ্রিন্ট ক্যাপচার করা হয়!
0 মন্তব্যসমূহ